অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়নের জন্য জ্বালানি একটি বাধ্যতামূলক প্রয়াস যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি ব্যবহার উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলে। ২০৩০ এবং তারপরেও টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬% কিংবা তার উপরে রাখতে হলে প্রয়োজনীয় জ্বালানির আবশ্যকীয়তাসমূহ পূরণ করতে হবে। বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানি স্থায়িত্ব অর্জন করতে হলে কেবল জ্বালানি সরবরাহ নয় জ্বালানি ব্যবহারেরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিভিন্ন পণ্য এবং সেবা প্রদানের জন্য আবশ্যকীয় জ্বালানির পরিমাণ হ্রাস করা এ ব্যাপারে আবশ্যক। জ্বালানি কার্যকারিতা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি-টেকসই জ্বালানির দুই স্তম্ভ বলা হয়।
জ্বালানি কার্যকারিতার উন্নয়নের প্রাথমিক দুটি প্রভাব (১) জ্বালানি নিরাপত্তার উন্নয়ন, (২) কার্যকর পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে কার্যকর জ্বালানি ব্যবহার আন্দোলনে ভাল ফল পাওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে কার্বন নিঃসরণ কমবে।
শিল্প, আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন এবং সেবাখাতে জ্বালানি কার্যকারিতা এবং সংরক্ষন নিশ্চিত করতে সম্প্রতি স্রেডা নতুন কৌশল নেওয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং স্রেডা নিয়মিত সেমিনার এবং কর্মশালার আয়োজন করছে।স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ে সচেতনতামূলক স্কুলিং প্রোগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে।
নিম্ন কার্বন নিঃসরণসহ টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ব্যবহারকারী পর্যায়ে প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের জ্বলানি ব্যবহার এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ মহাপরিকল্পনা ২০৩০ এ ২০২১ সালের মধ্যে ১৫% জ্বালানি সাশ্রয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কার্যকর জ্বালানি ব্যবহার এবং হ্রাসকৃত জ্বালানি খরচের জন্য সরকার নিম্নলিখিত উদ্যোগুলো গ্রহণ করেছে: